করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন তরুণরা। ৩১ থেকে ৪০ বছরে মধ্যে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। তবে, বয়স্ক ও অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের করোনায় মৃত্যুহার কিছুটা কমেছে। আর নারীদের মৃত্যু বেড়েছে ৭ ভাগ। বিষয়গুলোকে নতুন ধরনের করোনার অচেনা রূপ, বলছেন চিকিৎসকেরা।
মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল। জরুরি বিভাগের সামনে প্রস্তুত অ্যাম্বুলেন্স। পাশেই রোগীর অপেক্ষায় স্বজনেরাও। কিছুক্ষণ পর ট্রলির চাকায় ভর করে এলেন সাহারা মৃধা। তবে সুস্থ হয়ে নয়, করোনার কাছে হার মেনে ফিরতে হলো তাকে। আইসিইউতে করোনার সঙ্গে লড়েছেন সাত দিন। তার মতো এভাবেই করোনার কাছে এ পর্যন্ত হেরে গেছেন আরও ১২ হাজার মানুষ।
আইসিডিডিআরবির তথ্যমতে, দেশে এখন করোনার সাউথ আফ্রিকার ধরন ৯৫ ভাগ। মার্চ ও এপ্রিলে ভয়াবহ রূপ নেয় করোনা। এপ্রিলেই মারা গেছেন দুই হাজার ৪০০ জন। স্বাস্থ্য বাতায়নের তথ্য বলছে, গতবছরের তুলনায় এবছর ১০ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মৃত্যুহার দ্বিগুণ।
২০ থেকে ৩০ বছরে মৃত্যুহার ৬ গুণ। ৩০ থেকে ৪০ বছরে মৃত্যুহার ৫ গুণ বেড়েছে। গতবছর সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের। এবার তা ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় বয়স্কদের মৃত্যুহার কমেছে, মৃত্যু বেড়েছে তরুণদের।
তবে, আশার কথা শোনালেন চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক লিয়াকত আলী। তিনি জানান, যারা অন্যান্য রোগে ভুগছেন- এমন রোগীর করোনায় মৃত্যুহার কমেছে। গত বছর ৮২ ভাগ থেকে এ বছর কমে ৬৪ ভাগ হয়েছে। করোনার নতুন ধরনে নারীদের মৃত্যু বেড়েছে। গত বছর মৃত্যুহার ২৫ ভাগ থাকলেও এবার তা ৩২ ভাগ। মৃত্যু বেড়েছে ৭ ভাগ। হাসপাতালে নানা সংকটে এবার বাড়িতে মৃত্যুও দ্বিগুণ হয়েছে।